দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ আল-মাকতুম, সম্পর্কে অজানা তথ্য ?
যে কিনা ১৮ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের সাথে সাথে বিশ্বের
পাঁচটি ধনী রাজার মধ্যে একজন।
কিন্তু তার স্ত্রীর সংখ্যা গণনায় তিনি যেনও একদম
প্রতিযোগিতার শীর্ষে।
তার স্ত্রীদের মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত হলেন রাজকুমারী হায়া।
যিনি ২০১৯ সালে তার সন্তানরা সহ তার কাছ থেকে চলে যায়
কিন্তু এটাই একমাত্র শেখের জীবনে স্ত্রীদের নিয়ে কলঙ্কজনক
ঘটনা নয়।
এমনকি বতর্মানে স্ত্রী সন্তানদের কেউএি এই ধনী শেখের সঙ্গে
থাকতে চায়না।
তার আসল স্ত্রী সন্তানের সংখ্যায় বা আসলে কত।
আর বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে বিখ্যাত এই দুবাইর
রাজকুমারী শেখ আল মাহেরার সাথে তার সম্পর্কয় বা কী।
তো চলুন আজকের ভিডিও তে শেখ মোহাম্মদ আল-মাকতুম
সম্পর্কে অজানা তথ্য উদঘাটন করা যাক।
শেখ মোহাম্মদ আল-মাকতুম। ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
আর এখন তার বর্তমান বয়স ৭৫ এর কাছাকাছি।
তার এই দীর্ঘ জীবনে তিনি দুবাইকে একটা মাছ ধরার দরিদ্র
গ্রাম থেকে একটা বিলাস বহুল শহরের রূপান্তরিত করছে।
এছাড়াও গত ১৫ বছর ধরে শেখ মোহাম্মদ আরব
আমিরাতের প্রধান ছিলেন। তার নেতৃত্বে দুবাই পর্যটনের একটা বিশ্ব কেন্দ্র,প্রযুক্তি গতভাবে উন্নত, এবং পৃথিবীর অন্যতম বিলাসবহুল শহরে কনভার্ট হয়েছে।
যদিও বেশিরভাগেই ঘটেছে শেখ মোহাম্মদের শূখ্য নেতৃত্ব আর
উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে।
মজার ব্যাপার হলো শেখ মোহাম্মদের কপালে এত বেশি
মহিলা ছিলেন।
যে সম্ভবত তাদের মধ্যে অনেককেই হয়তো শেখের এখনো
মনেই নেই।
একটা সময় শেখ মোহাম্মদের কাছে একসাথে তিন থেকে
চারজন করে স্ত্রী থাকতো।
এবং পালাক্রমে তারা আবার পরিবর্তিত হতো।
মূলত একজন স্ত্রী আরেক স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করলে এমনটা
হতো।
যাই হোক।
১৯৭০ এর দশকে শেখের জীবনে এই কলঙ্কজনক অধ্যায়
সূত্রপাত ঘটে।
তখন তিনি লেবাননে যান।
এবং সেখানে দুবাইয়ের এই ক্রাউন প্রেনছের সাথে দেখা হয়।
রান্ডা আল বাননা নামের একটা সাধারণ মেয়ের সাথে।
তার বয়স তখন ছিল মাত্র 16 বছর।
সেখানেই শেখ মোহাম্মদ আর রান্ডার মধ্যে প্রেম শুরু হয়।
এবং তারা শীঘ্রই লন্ডনে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা বিয়েও
করে নেয়।
প্রথমেই তারা ইউরোপীয় ঐতিহ্য মেনে বসবাস করছিল।
তবে মেয়ের জন্মের পরে এবং তারা পরিবার সহ দুবাই পাড়ি
দেওয়ার পড়েই। শেখ মোহাম্মদ ভিন্ন রুপ দেখানো শরু করেণ।
তিনি অস্বাভাবিকভাবে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
অথচ রান্ডার সাথে একজন রক্ষিতার মতো আচরণ করা শুরু
করে।
তার অত্যাচারে রান্ডা ইতিমতো ছট ফট করতো।
কিন্তু রান্ডার জন্য এর চাইতেও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছিল
তাদের মেয়ের বয়স যখন ৫ মাস। তখন তাদের সম্পর্ক শেষ
হয় বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে
যদিও শেখ মোহাম্মদ রান্ডাকে পাশাদ থেকে বের করে দেন
আর শিশু টাকে নিজের কাছে রেখে দেন।
অথচ রহস্যকর বেপার হলো ২০ বছর ধরে রান্ডা দুবাইতে
এসে তার প্রাতম স্বামীর কাছে। অত্যন্ত দূর থেকে হলেও তার
মেয়েকে দেখার জন্য অনুরোত করে যাচ্ছিল।
কিন্তু শেখ মোহাম্মদ তাকে রারবারেই প্রত্যাখান করে গেছেন
আর তার স্ত্রীকে এমন খাবর বলেছিলেন যা তাকে হর্তবাগ
করে দিয়ে ছিল।
তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার মেয়েকে আর কখনও দেখতে
পাবেন না।
এবং তাকে আজীবনের জন্য দুবাইতে প্রবেশ করার জন্য
নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
মজার ব্যাপার হলো রান্ডা এখন ৪৬ বছর বয়সি এবং শেখ
মোহাম্মদ এখনও তার সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রেখেছেন।
এখানেই শেষ না রান্ডার পরপরেই শেখের আরো বেশ কয়েক
জন নতুন স্ত্রী হয়।
যাদের ভাগ্য সম্পর্কে আমরা একটু পরেই জানব
তারা পরপর তিনজন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এবং পঞ্চম
সন্তান হিসেবে বহুল প্রতিহ্মিত একজন পুএ সন্তানের জন্ম
দেন।
তার নাম ছিল মারওয়ান তিনি জন্ম নিয়েছিলেন একজন
জার্মান মহিলার গর্ভে
যার নাম আজওয়া জানা, এমনকি শেখ তাকে স্ত্রী হিসেবেও
গ্রহণ করেননি।
কেবলমাত্র শিশুরা জন্মের পরে তাকে নিয়ে চলে যায়।
অনেকেই বলেছে তিনি এই জার্মান মহিলাকে তার ছেলেকে
দেওয়ার জন্য কিছু টাকাও দিয়েছিলেন।
মজার বেপার হলো মারওয়ান শেখ মোহাম্মদের বড় ছেলে
হওয়ার সত্বেও।
শেখ তাকে এখন পর্যন্ত উত্তরাধিকারী করেননি। সম্ভবত এর
পেছনেও কারণ ছিল ছেলেটার ইউরোপীয় চেহারা।
যার কারণে তার বাবা তাকে মনে মনে অপছন্দও করতেন
এরপরে ৩০ বছর বয়সে শেখ মোহাম্মদ তার চাচাতো বোন
হিন্দ আল মাখতুম কে বিয়ে করেন। যিনি তার প্রধান স্ত্রী
হয়েছিলেন।
শেখের বেশিরভাগ স্ত্রীদের থেকে তিনি ভিন্ন ছিলেন।
সারা জীবনে তিনি একমাএ তার স্বামীর সাথে ভালো সম্পর্ক
গড়ে তুলতে পেরেছেন।
এ কারণেই হয়তো তিনি বড় এবং প্রধান স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন
এমনকি তিনি ১২ টা সন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন।
যাদের অধিক অংশই এখন দুবাই সরকারের সিনিয়র পদে
দায়িত্ব পালন করছে
তাদের বড় ছেলে রশিদ ছিলেন ক্রাউন প্রিন্স
যদিও দুর্ভাগ্যবশত রশিদ ২০১৫ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে
মারা যান। অফিসিয়াল কারন ছিল হার্টএটাক।
কিন্তু শোনা যায় যে প্রিন্স রশিদ মাদকে আসক্ত হয়ে গিয়ে
ছিলেন।
যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
এখন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স রশিদের এই ছোট ভাই হামদান
যে কিনা হিন্দ্রির ছেলে।
শেখ মোহাম্মদের অন্যান্য স্ত্রীদের মতো হিন্দ্রির ভাগ্য
ভালো ছিল না।
যেমন আলজেরিয়ার হরিয়া শেখ মোহাম্মদের ৫ টা সন্তান
জন্ম দেন।
কিন্তু একটা সময় শেখ আর তার প্রতি আকর্ষণ অনুভব না
করায়। সে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। তার বাচ্চা গুলো শেখের
কাছেই থেকে যায়।
একই ঘটনা ঘটে তার নেবালিছ স্ত্রী দলিলার সাথে।
তিনটা বাচ্চা হওয়ার পর তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়।
আর দুর ভাগ্যবশত দলিলা তার বাচ্চাদের দেখাশোনা করার
সুযোগও হারিয়ে ফেলে।
যদিও গ্রীক নারী জুই ত্রি গ্রুগছের সাথে শেখ মোহাম্মদের
আনুষ্ঠানিক কোনো বিয়ে হয়নি।
সাময়িক এক প্রকার বৌইদাহিক চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল তারা।
লন্ডনে তাদের দেখা হয়।
আর কিছুদিন পরে জুঁই একটা কন্যা সন্তান জন্ম দেয়।
যার নাম রাখা হয় কৃষ্টানা।
শেখ মোহাম্মদ জানতোইনা যে তার একটা মেয়ে আছে।
কৃষ্টানা ইউরোপে তার মায়ের সাথে খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে বাস
করছিল।
কিন্তু ১৬ বছর বয়সে নিজের বাবার পরিচয় জানতে পেরে
কৃষ্টানা দুবাই চলে আশে।
তার বাবাও তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়।
কৃষ্টানা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আর বর্তমানে
অন্যতম সুন্দরী শেখ মাহেরা নামে পরিচিত।
হ্যাঁ তিনিই শেখ মাহেরা।
সম্প্রতি সে তার চাচাতো ভাই শেখ মানাকে বিয়েও করেছে।
যাইহোক।
মারওয়ানাকে জন্ম দেওয়া সেই জার্মান নারির ভাগ্য তুরকির
আরেক নারির সাথে মিলে যায়।
যদিও শেখ মোহম্মদের তুরকির সেই স্ত্রীর নাম কোথাও উল্লেখ
করা নেই।
কিন্তু এটা জানা যায় ১৯৯৭ সালে এলা নামক একটা কন্যা
সন্তান জন্ম দানের পর তার আর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তবে এলা শেখ মোহম্মদের বাকি ছেলে মেয়েদের সাথে বড়
হয়ে ওঠে।
কিন্তু দুবাইয়ের এই শাশক কোনদিনে আর তার ছেলে
ছোহাইল কে স্বীকৃতি দেয়নি।
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া ছোহাইলের মা পাউলিনা আবি যিনি
একজন কট্টর খ্রিস্টান ছিলেন।
তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি। অনেকের ধারণা মূলত এটাই
কারণ ছিল।
শেখ মোহাম্মদের ছোহাইলকে সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি না
দেওয়ার পেছনে
ছোহাইল এখনো রাজপুএের স্বীকৃতি পায়নি।
সে তার শৈশব কৌশল মায়ের সাথেই কাটায়। যদিও কথিত
আছে পাউলিনা তার ছেলের ব্যাপারে শেখের সাথে যোগাযোগ
করার চেষ্টা করছিল।
কিন্তু শেখ আর কোন ভাবেই তার সাথে যোগাযোগ করতে
রাজি হয়নি, বরং তাকে এড়িয়ে চলেছে
প্রিন্সে হায়া শেখ মোহাম্মদের স্ত্রীদের মধ্যে সবচাইতে বেশি
বুদ্ধিমতী ছিলেন।
শেখের সাথে বিয়ে হওয়ার আগেই হায়া তার আগের স্ত্রীদের
ভাগ্যে কি হয়েছিল তা জানতে পারে।
তখন সে বুঝতে পারে তার স্বামীর সাথে তার নিজের সম্পর্ক
ভাঙ্গার মত অবস্থা
তখন তিনি বুদ্ধি করে আগে আগেই তার বাচ্চাদের নিয়ে
লন্ডনে পালিয়ে যায়।
অতিতে আসে প্রিন্সে হায়া তার জীবন নিয়ে সংকিত ছিলো
কারণ শেখের ব্যক্তিগত বডিগার্ডের সাথে তার পরকিয়ার
সম্পর্ক ছিল।
বিটেনে পৌঁছে হায়া নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ডিভোর্সের
জন্য আদালতে দারস্ত হয়।
এরমধ্যে সে বাচ্চাদের কে রাখার অনুমতির পাশাপাশি প্রায়
৭৩০ মিলিয়ন ডলারের হ্মতিপূরণ পায়।
কে জানে শেখ মোহাম্মদ হয়তো বাচ্চা গুলোকে কোন ভাবে
আবার নিজের কাছে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে।
কারণ এমনটাই ঘটেছিল তার আরেক মে লতিফার সাথে।
শেখ মোহাম্মদের স্ত্রী হরিয়ার মেয়ে ছিল লতিফা।
লতিফা বাচ্চা থাকা অবস্থাতেই হরিয়াকে রাজ পাশাদ থেকে
বেরকরে দেয়।
লতিফা যখন ১০ বছর বয়সী তখন সে এসব ব্যাপারে জানতে
পারে।
তার মায়ের ওপরে এমন অত্যচার না মানতে পেরে ১৬ বছর
বয়সে সে তার বাবার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু সে ধরা পড়ে যায়,আর তাকে জেলে পাঠানো হয়।